ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির বৈঠক: আন্দোলন না কোন্দল ঠেকানো 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

সিরিজ বৈঠকের প্রথম দফায় গত মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন বৈঠক করেছে বিএনপি। আবার আগামী মঙ্গবার থেকেও টানা তিন দিনের বৈঠকে বসবে দলটি। আগের বৈঠকটি নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে হলেও এবার বৈঠকটি বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে হবে। জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পদকেরা এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। পাশাপাশি নির্বাহী কমিটির সদস্যরাও থাকবেন বলে জানা গেছে। 

এ দিকে গতকাল শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। দলটির নেতৃত্বস্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে, এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। এ আন্দোলন হবে সরাকার পতনের আন্দোলন। এ জন্যই এই সিরিজ বৈঠকগুলো করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। এবং এ কর্মসূচির মাধ্যমেই সরকার পতনে রাজপথে নামবে। 

তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বৈঠকটি যতটা না আন্দোলন কেন্দ্রিক, তার চেয়েও বেশি অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনেই ব্যতি ব্যস্ত ছিল। বর্তমানে বিএনপির মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা, নেতৃত্ব কেন্দ্রিক দ্বন্দ এবং রাজপথে আন্দোলন কেন করতে পারছে না এ নিয়ে  চলছে তীব্র কোন্দল। এবং এ কোন্দল ঠেকাতেই এ বৈঠক হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় নেতারা যদিও বাইরে দেখানোর চেষ্টা করছে যে একটি সরকারবিরোধী আন্দোলন হবে, তবে বাস্তবতার সঙ্গে এ দাবি ঠিক মিলছে না। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে এত বৈঠকের দরকার নেই। বিএনপি যেই এক দফা আন্দোলনের কথা বলছে তার জন্য সিরিজ বৈঠক করার কি দরকার আছে তাও বোধগম্য নয়। বিএনপি যদি মনে করে তারা সরকার পতন ঘটাবে তাহলে তাদের রাস্তায় আন্দোলন করতে হবে। এ নিয়ে এত বৈঠক করার দরকার নেই বলেও মতামত দেন বিশ্লেষকেরা। এ সিরিজ বৈঠক ও নেতাদের কথার আড়ালের কথা নিয়ে বিশ্লেষকেরা ৫টি কারণ চিহ্নিত করেছেন।   

প্রথমত, বিএনপি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়। যাদের প্রধান নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরও ১০ জনের একটি মিছিল করতে পারে না, তারা বর্তমানে কিভাবে আন্দোলন করবে?

দ্বিতীয়ত, বর্তমানে বিএনপির যেই সাংগঠনিক অবস্থা তা দিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার সক্ষমতা তাদের নেই। 

তৃতীয়ত, বিএনপি কোন ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ এবং এক ধরণের দিধাদ্বন্দ রয়েছে।

চতুর্থত, যে কোনো আন্দোলন করতে জনসম্পৃক্ততা লাগে। জনগণ ইতোমধ্যে জানে দলটির প্রধান দুই নেতা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এদের মধ্যে একজন আবার পলাতক। ফলে জনসম্পৃক্ত করার মতো পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। 

শেষ ও পঞ্চমত, বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতবিরোধ, নেতৃত্বের দ্বন্দ চরমে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে যে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই একটা আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত কঠিন। 

আর সে কারণেই বিএনপি বোধহয় বৈঠক করছে যে কিভাবে দলের কোন্দল ও মতবিরোধ মেটানো যায়।

একদিকে বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সংখ্যা অনেক বেশি। ৮০ ভাগ কমিটিরই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন দলের কাউন্সিল হয় না। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অর্ধেকেরও বেশি অসুস্থ। অনেকে আবার নিষ্ক্রিয়। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে একটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন করতে গেলে দলের ভেতরে যে ধরণের ঐক্যের দরকার, সে ঐক্য বিএনপির মধ্যে অনুপস্থিত। আর এ কারণেই হয়ত বিএনপি বৈঠকগুলো করছে যেন দলের ভাঙ্গন ঠেকানো যায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

 

বিস্তারিত আসছে….


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আব্বাস বলেন, ‘আরেকটা ফাঁদ, সর্বশেষ ফাঁদ পেতেছে আমাদের আজকের সরকার। তারা বলছে, উপজেলা নির্বাচন। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছিল, বিএনপিকে নির্বাচনে নেবে, কিন্তু বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’

তিনি বলেন, যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখ দিয়ে মানায় না।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন ভোট দিতে গিয়েছিল লোকজন? এবারও যাবে না। আমার ছোটভাই রিজভী উদাহরণ দিলেন সরিষাবাড়ি, কক্সবাজার ও বরিশালের…ওরা (আওয়ামী লীগ) নাকি বলেছে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। সরকারের পতন হবেই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম সরকার উৎখাত করবে। আরে ভাই আমি তো সরকারই দেখি না। এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। সুতরাং এই সরকারকে উৎখাত করার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে তখন লাথি দিয়ে সরকারকে ফেলে দেবে, সরকার থাকতে পারবে না।’

দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একজন-দুইজন-তিনজন করে প্রতিদিন কোর্টে আত্মসমর্পণ করছে, স্বেচ্ছায় জেলে যাচ্ছে। আমরা তাদের মুক্তি দাবি করে আসছি, আজকে এই মানববন্ধনে হচ্ছে। খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না’

মির্জা আব্বাস বলেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া এখন গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আল্লাহ জানেন কখন যে কি হয়।

তিনি বলেন, তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কতবার বলেছি, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে অথবা চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। তার অবস্থা বেশি ভালো না। আজকে তারা বলছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না। অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে হবে এবং এমনভাবে করতে হবে যাতে কেউ কিছু বলতে না পারে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এভাবে গ্রেপ্তার করে পৃথিবীর আন্দোলন কোনো স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই, জনরোষের মুখে এটাকে কেউ টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আন্দোলন হবে, মুক্ত হবে দে ‘

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছে। উনি নাকি ঠিকঠাক করছেন। ভাই কি ঠিক করছেন আমার জানা নেই।

হাজার হাজার লাখ কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের পেটে ভাত নেই, যারা তিন বেলা খেতেন তারা দুই বেলা খায়। 

সংগঠনের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়দেব জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন।


উপজেলা নির্বাচন   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান বেগম জিয়ার ভাই ও বোন

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে নেওয়ার জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন সেলিমা রহমান। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বিক রিপোর্ট, এভারকেয়ার হাসপাতালের মতামত এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। বেগম জিয়ার পরিবারের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গণভবন থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ নিয়ে সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। শামীম ইস্কান্দারের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু বলেছেন যে, শামীম ইস্কান্দার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সময় প্রার্থনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদেরকে সময় দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২০২০ সালে শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেই সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছোট শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শামীম ইস্কান্দার এবং বেগম জিয়ার ছোট বোন খালেদা জিয়ার জন্য করুণা ভিক্ষা করেন। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তত বাসায় থেকে চিকিৎসা করার অনুমতি প্রার্থনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে উদারতার পরিচয় দেন। অতীতের তিক্ততা এবং বেগম খালেদা জিয়ার কর্মকান্ড ইত্যাদিকে ভুলে তিনি মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দেন। সেই জামিনেই গত ৪ বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। নির্বাচনের আগে থেকেই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে তৎপর হয়েছিলেন। তিনি সরকারের কাছে এব্যাপারে তিন দফা আবেদন করেন। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে জানান, যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যেই ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ ধারা ব্যবহার করে ফেলেছেন, কাজেই তার জন্য এখন আর কোনরকম উদারতা প্রদর্শন করা আইনগতভাবে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ একবার প্রয়োগ হলে তা দ্বিতীয়বার একই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা যায় না।

আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বেগম জিয়া যদি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চান তাহলে তাকে আগে কারাগারে যেতে হবে। বর্তমান যে সুবিধা তিনি পাচ্ছেন তা বাতিল করতে হবে। তারপর তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।

কিন্তু বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে সেধরনের কোন আবেদন করা হয়নি। সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের পর থেকেই শামীম ইস্কান্দার তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। তবে সেই আবেদনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া দেওয়া হয়নি। আর একারণেই শমীম ইস্কান্দার এবং তার বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।


বেগম খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   সেলিমা রহমান   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত: ইসি রাশেদা

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত। কোনো প্রভাবশালী (এমপি) নির্বাচনে প্রভাব খাটালে, কমিশন প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারণ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে কোনো আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই।

শনিবার (৪ মে) সকালে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিভাগীয় প্রশাসন।

রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান ইজ্জত, মর্যাদা আপনিই রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা এমপিদের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে কারও সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এরকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে তাহলে প্রার্থিতা বাতিলও হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই মতবিনিময় সভায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং জয়পুরহাট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচন   প্রভাবমুক্ত. ইসি রাশেদা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি চাকরিজীবী রাসেল আবারও বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের পদে

প্রকাশ: ০২:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বৃহস্পতিবার ( ২ মে ) যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে মো. রফিকুল ইসলামকে সভাপতি, মুখলেসুর রহমানকে সহসভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাসেল খান বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ১০ বছর পর গঠিত যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রাসেল খান নামের এক সরকারি চাকরিজীবীকে। তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে এক যুগ ধরে কর্মরত। এর আগেও যুবলীগের একই পদে ছিলেন রাসেল খান।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।

যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। সে সময় সম্মেলনে সরকারি চাকরিজীবী রাসেল খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় রাসেল খানের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন পদবঞ্চিতরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

উপজেলা যুবলীগের দুজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চাকরির পাশাপাশি সরাসরি ক্ষমতাসীন দলের দলীয় পদে থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। যুবলীগ নেতা হয়েও তিনি নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারাও অনেকটা অসহায়।

অভিযোগের বিষয়ে রাসেল খান বলেন, আবারও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়ায় রাজনীতি করে যাচ্ছি।’ সরকারি চাকরির পাশাপাশি রাজনীতি—দুটি কাজ কীভাবে একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে চাননি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমি শহরে আসছি। এক ঘণ্টার মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ এই বলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবী কেউ যদি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চান, তবে সেখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে সরকারি দপ্তরের কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না, সেটি আমার জানা নেই।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বলেন,  সরকারি চাকরি করে সরাসরি রাজনীতির কোনো পদপদবিতে থাকা যায় না। তাঁর (রাসেল খান) বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’


উপজেলা যুবলীগ   সরকারি   চাকরি   রাসেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন